বেস্ট বেঙ্গল     বর্দ্ধমান     নূতনগ্রাম


একটি দল বা গুচ্ছ নিরূপিত হয় ভৌগলিক সমাবেশ বা কেন্দ্রীকরণ হিসাবে(একটি মহানগরী/ শহর / কিছু সংলগ্ন গ্রামসমূহ এবং তাদের সন্নিহিত অঞ্চলসমূহ) যা কাছাকাছি একই ধরণের উপাদানের দ্রব্য উপন্ন করছেন এবং মুখোমুখি হচ্ছেন যৌথ সুযোগ সুবিধার ও আশঙ্কার। একটি কারুশিল্পী দল নিরূপিত হয় ভৌগলিক দিক থেকে কেন্দ্রীভূত (প্রধানত গ্রামগুলিতে/ছোট শহরগুলিতে) পরিবার পরিজনের দল যারা হস্তশিল্পের / হস্ত চালিত তাঁতের উপাদিত দ্রব্য সমূহ উপাদন করছেন। একটি বৈশিষ্ট্য সূচক দলে এইরকম উপাদকরা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হন, যাহারা বংশানুক্রমে স্বীকৃত দ্রব্য উপাদন করছেন। বস্তুত, অনেক কারুশিল্পী দল হলেন শতাধিক বছরের পুরনো কারুশিল্পী।

নূতনগ্রাম গোষ্ঠী সম্বন্ধে :-

পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলাতে নূতনগ্রাম গোষ্ঠী পড়ে।

নূতনগ্রাম গোষ্ঠী 146 এর বেশী কারিগর গঠন করতে সক্ষম হয়েছে এবং 12 টি স্বয়ন্ভর গোষ্ঠী এই শক্তিশালী কর্মশক্তিকে সহায়তা দিচ্ছেন। চলন শক্তির গতিবেগ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চামড়ার শিল্প কৌশল :-

উত্তরপ্রদেশ রাজ্য চামড়া ও চামড়ার উপাদিত পরিসমাপ্ত দ্রব্যের গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ উস। কানপুরের চামড়া প্রক্রিয়া করণের কারখানাগুলি সারা পৃথিবী জুড়ে সুবিদিত, তাদের সূক্ষ্মতম গুণগত মানের প্রক্রিয়াকৃত চামড়ার জন্য। উত্তর প্রদেশের কানপুর ও আগ্রা হচ্ছে চামড়া ও চামড়ার উপাদিত সামগ্রীর প্রখ্যাত উপাদন /রপ্তানী কেন্দ্র । যেখানে কানপুর পরিচিত ঘোড়ায় চড়বার চামড়ার জিনিষপত্রের জন্য, পাদুকা ( চপ্পল ও জুতো), ব্যাগ এবং মানিব্যাগ এর জন্য, আগ্রা বিখ্যাত তোলা জুতোর জন্য এবং জুতো, জামা কাপড় ইত্যাদির জন্য। আগ্রা ভারতবর্ষের বৃহত্তম পাদুকা প্রস্তুতকারক কেন্দ্র বলে ধরা হয়। মুঘল রাজত্বকালে, জুতো এবং চপ্পল প্রস্তুত করা হত রাজপরিবারের জন্য। আগ্রাতে পাশ্চাত্য জুতো তৈরী শুরু হয়েছিল ঈষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী আগ্রা কেল্লা দখল করবার পর। ব্রিটিশ সৈন্যদের চাহিদা পূরণ করতে ইংল্যান্ড থেকে জুতো প্রস্তুতকারকদের নিয়ে আসা হয়েছিলো স্থানীয় সুদক্ষ কারীগরদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হতে হতে আগ্রা জুতোর বাজার দেশের মধ্যে এবং বাইরের দেশগুলোতেও যথা – ইরান, ইরাক এবং পূর্ব ইউরোপীয় দেশ গুলিতেও ছড়িয়ে পড়েছিলো।

চামড়া প্রক্রিয়াকরণ খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ সালের মধ্যে উচ্চ মার্গে পৌঁছেছিল বলে মনে করা হয়,যখন এই সমস্ত অপরূপ দ্রব্য ব্যাবহৃত হত। সমগ্র রাজস্থান জুড়ে চামড়ার দ্রব্য উপাদিত হয়। গ্রামাঞ্চলে ব্যাবহার করার জন্য জুতোগুলো খুব শক্ত সামর্থ ও দৃঢ় এবং সপ্রতিভতার আদর্শ উদাহরণ যা সম্পাদিত হত খুব উজ্জ্বল রঙে এবং মোটা ভারী সেলাই এ। যোধপুর এবং জয়পুর বিখ্যাত হালকা, নৌকা আকৃতির বাঁধার ব্যাবস্থা রহিত জুতোর জন্য যাকে বলা হয় ‘মোজরিস’ এর জন্য বিখ্যাত। বিকানীর বিখ্যাত উটের চামড়ার জলের বোতল তৈরী করার জন্য।

চামড়া প্রক্রিয়াকরণ খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ সালের মধ্যে উচ্চ মার্গে পৌঁছেছিল। আগে বিশেষত: গাঢ় রঙের বাঘ এবং হরিণের চামড়া ব্যাবহার করা হত। এমনকি স্রষ্টা শিবও বাঘের চামড়ায় পরিহিত থাকতেন এবং হরিণের চামড়া ব্যাবহৃত হত প্রাচীন ভারতের ব্রাহ্মণদের বসার আসন হিসাবে। কবি রবি ঠাকুরের নেতৃত্বে শান্তিনিকেতনও আধুনিক শোভাবর্ধক চামড়ার সামগ্রীর চিহ্ন রেখা অগ্নিশিখায় প্রজ্বলিত করেছিল, যেটা প্রচলিত উপযোগিতা পদার্থ অন্তর্ভুক্ত করে।

চামড়া প্রক্রিয়াকরণ খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ সালের মধ্যে উচ্চ মার্গে পৌঁছেছিল যেটা মানুষের অনুধাবিত এই সমস্ত অপরূপ দ্রব্যের ব্যাপক ব্যাবহারের রাস্তা শক্ত করতে সাহায্য করেছিল। কারণ গ্রামাঞ্চলে এর ব্যাপক প্রসারণ, চামড়া প্রক্রিয়াকরণের অনেকটাই দেশীয় পদ্ধতিতে স্থানীয় ভাবে করা হয় যেটা অনেকটাই পরিশ্রম সাপেক্ষ।

চামড়া প্রক্রিয়াকরণ খৃষ্টপূর্ব ৩০০০ সালের মধ্যে উচ্চ মার্গে পৌঁছেছিল যেটা মানুষের অনুধাবিত এই সমস্ত অপরূপ দ্রব্যের ব্যাপক ব্যাবহারের রাস্তা শক্ত করতে সাহায্য করেছিল। দিল্লীর চামরার কর্মচারীরা চিরাচরিত শোভাবর্ধক জুতী (জুতো) তৈরী করে এবং সাধারণ চামড়ার কাজে নিযুক্ত।

কাঁচামাল:-

মৌলিক উপাদান:- হরিণজাতীয় প্রাণীবিশেষ (সম্ভর) চামড়া।

শোভাবর্ধক উপাদান:- পিতল, তামা ধাতু, পুঁতি, সূচিশিল্পের সুতো।

রঞ্জক উপাদান:- পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট, অ্যানিলিন, উদ্ভিজ্জ রঞ্জক।

মৌলিক উপাদান:- উটের চামড়া, প্রণীদেহের শক্ত বহিরাবরণের গুঁড়ো, আঠা, কথ বেল।

শোভাবর্ধক উপাদান:- রেশম অথবা ধাতব সূচি শিল্পের পুঁতি।

রঞ্জক উপাদান:- রঙ।

মৌলিক উপাদান:- ভেড়ার চামড়া , ছাগলের চামড়া

শোভাবর্ধক উপাদান:- পুঁতি, তামা ধাতু, সূচি শিল্পের সুতো।

মৌলিক উপাদান:- কাঁচা চামরা, মাটি, প্রণীদেহের শক্ত বহিরাবরণের গুঁড়ো, আঠা, রঙ।

মৌলিক উপাদান:- ভেড়ার চামড়া, ছাগলের চামড়া, হরিণজাতীয় প্রাণীবিশেষ (সম্ভর) চামড়া।

শোভাবর্ধক উপাদান:- পিতল, তামা ধাতু, পুঁতি, সূচিশিল্পের সুতো।

ছুরি, ব্লেড এবং বাটালী, মাপবার ফিতে, ঘোরানো চামড়া ফুটো করবার যন্ত্র, সেলাই নির্মাতা, চামড়া ফুটো করবার আরা, এক জোড়া কাঁচি, কাঠের ছোটো হাতুড়ি, জুতোর হাতুড়ি।

প্রক্রিয়া:-

ভেড়ার চামড়া অথবা ছাগলের চামড়া প্রথমে প্রক্রিয়া করণ করা হয় বা কষান হয় গাছের ছাল থেকে প্রাপ্ত অথবা পটাসিয়াম ডাইক্রোমেট থেকে প্রাপ্ত ট্যানিক অ্যাসিড এর সাহায্যে পচন রোধ করার জন্য। অ্যানিলিন দিয়ে এটাকে সম্পূর্ণ করা হয়। জুতোর অথবা চপ্পলের আদর্শ ধরণ একটা মোটা কাগজের উপর আঁকা হয়। এই রূপরেখা চামড়ার উপর রাখা হয়, যেটা অনুরূপ ভাবে কাটা হয়। সেলাই এর জন্য চামড়ার প্রান্তসীমা প্রস্তুত করতে, চামড়ার ওজন এবং পুরুত্ব বিবেচনা করা হয়। যদি অপেক্ষাকৃত বেশী ভারী চামড়া সেলাই করতে হয়, ভিতরের যে ধারগুলো জোড় দিতে হবে যত্ন সহকারে পাতলা করা হয়। একবার স্তরে স্তরে কাটা হয়ে গেলে, ভারী চামড়াগুলো নিয়ন্ত্রন করা হয় হালকা ও মাঝারী ওজনের চামড়ার মতন। সেলাই এর মানদন্ড ব্যাবহার করা হয় সেলাই এর গর্তের জন্য জোড়মুখ দাগ দিতে। চামড়া যত হালকা হবে, দুটো সেলাই এর মধ্যবর্তী জায়গা তত ছোট হবে। দৃঢ় সহায়তার জন্য আঠা ব্যাবহার করা হয় নরম জায়গার জন্য অথবা জোড়মুখের ভিতরের দিকের জন্য।.

উটের চামড়া প্রথমে নরম করা হয় এবং তারপর প্রয়োজনীয় আকারের জন্য মাটির ছাঁচের উপর টেনে প্রসারিত করা হয়। যখন চামড়া শক্ত হয়ে যায়, মাটি ধুয়ে ফেলা হয়। একধরণের গ্যাসো কাজ ব্যাবহার করা হয় শোভাবর্ধনের জন্য। সর্বপ্রথম আদর্শ নমুনাটি একটা চামড়ার উপর আঁকা হয়। তারপর যে জায়গাটা অলঙ্করণ করা হবে সেখানে আঠা এবং একধরণের কত বেলের সাথে প্রাণী দেহের শক্ত বহিরাবরণ এর গুঁড়োর সহিত মিশ্রিত একটা বিশেষ ধরণের প্রস্তুতি বারে বারে প্রয়োগ করে উঁচু করা হয়। উত্তোলিত তল সোনালী রঙ ও অন্যান্য রং দিয়ে রং করা হয় পক্ষান্তরে নিম্নদেশ কালো অথবা লাল রঙ দিয়ে রঙ করা হয় যাতে উপরের রঙটা লক্ষ্যণীয় হয়।.

চামড়া প্রথমে নরম করা হয় এবং তারপর অভীষ্ট গড়নে মাটির ছাঁচ তৈরী করে তার উপর উপর টেনে প্রসারিত করা হয়। যখন চামড়া শক্ত হয়ে যায়, মাটি ধুয়ে ফেলা হয়। আদর্শ নমুনাটি প্রথমে একটা চামড়ার উপর আঁকা হয়, তারপর যে জায়গাটা অলঙ্করণ করা হবে সেখানে আঠা এবং প্রাণী দেহের শক্ত বহিরাবরণ এর গুঁড়োর সহিত

 মিশ্রিত একটা বিশেষ ধরণের প্রস্তুতি বারে বারে প্রয়োগ করে উঁচু করা হয়। যখন তলটি উত্তোলিত হয়, এটা তখন সোনালী রঙ ও অন্যান্য রং দিয়ে রং করা হয় পক্ষান্তরে নিম্নদেশ কালো অথবা লাল রঙ দিয়ে রঙ করা হয় যাতে উপরের রঙটা লক্ষ্যণীয় হয়।.

কৌশল :-


১) নরমকৃত


২) বিস্তৃত


৩) শক্ত


কি ভাবে পৌঁছাবেন :-


আকাশ পথে :-

বর্ধমান থেকে নিকটতম বিমানবন্দর হচ্ছে কোলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। এই জায়গা থেকে বিমানবন্দরটি প্রায়
160 কিমি দূরে অবস্থিত এবং ভারতের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্যস্থলগুলির চাহিদা পূরণ করে, কিছু আন্তর্জাতিক জায়গা ব্যাতিরেকেও। কোলকাতা বিমানবন্দর থেকে, বর্ধমানে পৌঁছানোর জন্য আপনাকে ব্যাক্তিগত ট্যাক্সি অথবা বাস চাপতে হবে।

সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে :-


জেলার সড়ক সংযোজকতা খুবই ভাল। আন্ত:রাজ্য বাস পরিষেবা শহর কে যোগ করেছে, ভারতবর্ষের মুখ্য গন্তব্যস্থলগুলির সাথে, নিয়মিত ভাবে। ভালভাবে রক্ষণা বেক্ষণ করা চার ভাগের জি.টি.রোড আছে তাদের জন্য যারা নিজেদের গাড়িতে করে গাড়ি চালিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে চান।


রেল পথের মাধ্যমে :-


বর্ধমান
জেলার মধ্যে দিয়ে অসংখ্য ট্রেন যায়। হাওড়া-দিল্লী লাইনও এর উপর দিয়ে গিয়েছে। রেলপথের মাধ্যমে এই জায়গার অবিরাম সংযোজকতা আছে, যেহেতু রাজ্যের এটা গুরুত্বপূর্ণ রেলের মাথা।








বেস্ট বেঙ্গল     বর্দ্ধমান     বর্ধমান পাট নির্ভর পরিধান শিল্পসংক্রান্ত সমবায় সমিতি