বেস্ট বেঙ্গল     কোলকাতা     সন্দেশখালি


একটি দল বা গুচ্ছনিরূপিত হয় ভৌগলিক সমাবেশ বা কেন্দ্রীকরণ হিসাবে(একটি মহানগরী/ শহর / কিছু সংলগ্ন গ্রামসমূহ এবং তাদের সন্নিহিত অঞ্চলসমূহ) যা কাছাকাছি একই ধরণেরউপাদানের দ্রব্য উৎপন্ন করছেন এবং মুখোমুখি হচ্ছেন যৌথ সুযোগ সুবিধার ও আশঙ্কার। একটি কারুশিল্পী দল নিরূপিত হয় ভৌগলিক দিক থেকে কেন্দ্রীভূত (প্রধানত গ্রামগুলিতে/ছোট শহরগুলিতে) পরিবার পরিজনের দল যারা হস্তশিল্পের / হস্ত চালিত তাঁতের উৎপাদিত দ্রব্য সমূহ উৎপাদন করছেন। একটি বৈশিষ্ট্য সূচক দলে এইরকম উৎপাদকরা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হন, যাহারা বংশানুক্রমে স্বীকৃত দ্রব্য উৎপাদন করছেন। বস্তুত, অনেক কারুশিল্পী দল হলেন শতাধিক বছরের পুরনো কারুশিল্পী।

সন্দেশখালি গোষ্ঠী সম্বন্ধে :-

পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের কোলকাতা জেলাতে সন্দেশখালি গোষ্ঠী পড়ে।

সন্দেশখালি গোষ্ঠী 316 এর বেশী কারিগর গঠন করতে সক্ষম হয়েছে এবং 25 টি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী এই শক্তিশালী কর্মশক্তিকে সহায়তা দিচ্ছেন। চলন শক্তির গতিবেগ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

হস্তচালিত তাঁত বস্ত্র:-

বাংলার হস্তচালিত তাঁতের কমপক্ষে ছয় ধরণের বৈচিত্র আছে, প্রত্যেকের নাম উদ্ভূত হচ্ছে সেই গ্রাম থেকে যেখানে তারা সূচিত হয়েছিলো, এবং প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্রসূচক ভঙ্গিতে। নির্দিষ্ট ক্রমবিন্যাসে অবিতর্কিত রানি, পক্ষান্তরে হচ্ছে কল্পকাহিনীর জামদানি, যারমধ্যে এর সবই বিপুল স্থানীয় অবতার এর আসল মহিমা এবং পরিশীলতাকে ধরে রাখতে বহন করে। আদি সংস্করণ অভিহিত হচ্ছে ঢাকাই জামদানি হিসাবে, যদিও এখন পশ্চিম বাংলার নবদ্বীপ ও ধাত্রীগ্রামে এটা উৎপাদিত হচ্ছে।


ঢাকাই জামদানি কে তার দেশোয়ালি ভাই / বোন থেকে আলাদা করে চেনা যায় এর বুনট এর জন্য যেটা মসলিন কাপড়ের সঙ্গে মিল আছে এবং এর সুনির্মিত এবং অলঙ্কারসমৃদ্ধ কারিকুরির জন্য। বাংলাদেশে, তাঁতিরা মিশরীয় সুতি ব্যবহার করে, যেখানে ভারতীয় তাঁতীরা কেবলমাত্র দেশীয় কাঁচা মাল ব্যবহার করে। কাপড়ের একটামাত্র লম্বা দিকের সুতো সাধারণভাবে অলংকৃত করা হয় দুটো অতিরিক্ত আড়াআড়ি সুতো দিয়ে যা অনুসৃত হয় জমির দিকের আড়াআড়ি সুতো দিয়ে। যেখানে আদি বাংলাদেশী শাড়ি প্রায় সবটাই অপরিবর্তনীয়ভাবে বাদামি-ধূসর পটভূমিতে, ভারতীয় তাঁতীরা কিয়দংশ হলেও বেশ দু:সাহসিক তাদের রঙের পরিকল্পনার পছন্দে। অতি সূক্ষ্ম রেশমে বোনা পাতলা কালো জামদানি বহুবর্ণের রৈখিক ছিটাতে অথবা বুটিদার শিল্পকর্মের বৈশিষ্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুরো শাড়িতে ও পাড়ে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং অনিন্দ্যসুন্দর নকশার মুকুটে বিস্তারিত আঁচল চোখের পক্ষে খুবই তৃপ্তিদায়ক।

যেখানে ঢাকাই জামদানি কঠোরভাবে আনন্দ সমাবেশের ব্যাপার, সেখানে অন্যান্য জামদানি অনেকটাইকেতা-দুরস্ত সচেতন কর্মরত মহিলা দ্বারা অন্বেষিত তাদের মাধুর্যতার জন্য। এইগুলো বেশরিভাগই টাঙ্গাইল কাপড়ের উপর জামদানির শিল্পকলা বৈশিষ্টে এবং সাধারণভাবে পরিচিত টাঙ্গাইল জামদানি’র মত বিভ্রান্তিমূলক নামকরনে। যদিও বাদামি-ধূসর পটভূমি সবথেকে বেশী জনপ্রিয়, এইগুলো উপলব্ধ সামর্থের মধ্যে পাওয়া দামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রঙের বৈচিত্রে।


কাঁচামাল:-

১) সুতো
২) সুতির কাপড়
৩) কাঠের ব্লক ( কাঠের চৌকোনা নিরেট বাক্স)
৪) রং


প্রক্রিয়া :-

পশম সংগ্রহ করা হয় প্রতি বসন্তে, এবং সুতো কাটানো হয় হাত দিয়ে। সেলাই এর জন্য সুতো কাটা হয় ঘুর্ণায়মান চাকায় স্থানীয়ভাবে পরিচিত ‘চরকা’ বলে। ঘুর্ণন এর আগে, কাঁচা মালকে নির্মান প্রক্রিয়ায় আরোপ করা হয় টেনে এবং পরিস্কার করে সমস্ত ময়লা দুর করতে এবং কয়েক দিন ধরে চাল এবং জলের মিশ্রনে ভিজিয়ে রাখা হয় আরও নরম করার জন্য। হাতে ঘুর্ণন খুবই কষ্টকর এবং অনেকক্ষণের কাজ। এটাতে প্রয়োজন হয় চূড়ান্ত ধৈর্য্য ও উৎসর্গ, এবং লক্ষ্য করার ক্ষেত্রে চমৎকার পদ্ধতি।

যন্ত্রচালিত তাঁতে যে কম্পন তৈরী হয় তার জন্য বোনার সুতো ছিঁড়ে যায় সেইজন্য 100 শতাংশখাঁটি চিরাচরিত শালগুলো বোনা হয় হস্তচালিত তাঁতে। তন্তুজীবীদের কাছে দ্রুত ও অবিচলভাবে হাত চালানোখুব অপরিহার্য, অখন্ড উৎকৃষ্ট বস্ত্রাদি বুননের জন্য। মাকুর সাহায্যে বোনা হয়। বুনন পদ্ধতি নিজের থেকেই একটা শিল্প, যেটা বংশ পরম্পরায় অতিক্রান্ত হয়েছে। একটা হস্তচালিত তাঁতে একজনের ব্যবহারের জন্য শাল বুনতে প্রায় চার দিন লাগে।

রঞ্জন কার্যও হাতে করা হয় এবং প্রতিটা টুকরো আলাদাভাবে। রঞ্জনকারী প্রভুত ধৈর্য্য সহকারে এবং বংশানুক্রমিক অভিজ্ঞতায় তারাই যারা শাল রঙ করেন, যেহেতু এমনকি ক্ষুদ্রতম গাফিলতিও উৎপাদিত দ্রব্যের গুনগত মানে প্রতিফলিত হয়। কেবলমাত্র ধাতব এবং অ্যাজো মুক্ত রঙ ব্যবহৃত হয়, যেটা শালকে পরিবেশ সহায়ক করেছে। রং করার জন্য খাঁটি জল ব্যবহার করা হয় যা গভীরে মাটির নীচ থেকে পাম্প করা হয়। রঙ করা হয় স্ফুটনাঙ্কের প্রায় নীচের তাপমাত্রায় প্রায় একঘন্টা ধরে। ‘পশমিনা’ পশম হচ্ছে ব্যতিক্রমিভাবে শোষক, এবং খুব সহজে এবং গভীরভাবে রঙ করা যায়।

কৌশল :-

জামদানিতে, নকশার আদর্শ নমুনা কাগজের উপর আঁকা হয় এবং ছাপানো হয় কাপড়ের লম্বা দিকের সুতোর নীচে। বোনা যত এগোয়, নকশাগুলো মিশে গিয়ে সূচিশিল্পের মত দেখতে লাগে।যখন আড়ের দিকের সুতো যেখানে ফুল বা অন্যান্য চিত্র ঢোকাতে হবে তার কাছাকাছি এগিয়ে আসবে, তন্তুজীবী বিভিন্ন রঙের বোনার সুতো জরানো বাঁশের সুঁচের সেট থেকে একটা করে সূঁচ নেয় নকশার জন্যপ্রয়োজন মত প্রত্যেককে ঘুরিয়ে। যখন যখন প্রতিটা আড়ের সুতো অথবা পশম সুতো লম্বাদিকের সুতোকে অতিক্রম করে, এক বা অন্য সুঁচের সাথে তিনি আদর্শ নকশার ছেদ বিন্দুর অংশে সেলাই খুলে দেন যে রকম প্রয়োজন হতে পারে এবং এরকম চলতে থাকে যতক্ষন না আদর্শ নকশা শেষ হয়। যখন আদর্শ নকশা একটানা ও নিয়মিত, একজন নিয়ন্ত্রনকারী তন্তুজীবী কাগজের আদর্শ নমুনার সাহায্যে সাধারণভাবে নিয়ন্ত্রন করে।


কি ভাবে পৌঁছাবেন :-


বহন সবসে  বাদে শেহারাইন সে  দুম দুম পার কলকাতা সে দায়নীক উদ্যানে হেন.  নদী  কে করিব হনে কে কারণ  অন্য  মহিনে গরম হতে হেন অর সাম ক তাপমান  আচ্ছা রাহাত হাই. উচ্চ আদ্রতা ক দেখতে হুএ কত্তন কাপড়ে সবসে আচ্ছে হতে হেন.








বেস্ট বেঙ্গল     কোলকাতা     উন্নয়নের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য কালিঘাট সমিতি