বেস্ট বেঙ্গল     দার্জিলিং     কালিম্পং


একটি দল বা গুচ্ছ  নিরূপিত হয় ভৌগলিক সমাবেশ বা কেন্দ্রীকরণ হিসাবে(একটি মহানগরী/ শহর / কিছু সংলগ্ন গ্রামসমূহ এবং তাদের সন্নিহিত অঞ্চলসমূহ) যা কাছাকাছি একই ধরণের  উপাদানের দ্রব্য উৎপন্ন করছেন এবং মুখোমুখি হচ্ছেন যৌথ সুযোগ সুবিধার ও আশঙ্কার। একটি কারুশিল্পী দল নিরূপিত হয় ভৌগলিক দিক থেকে কেন্দ্রীভূত (প্রধানত গ্রামগুলিতে/ছোট শহরগুলিতে) পরিবার পরিজনের দল যারা হস্তশিল্পের / হস্ত চালিত তাঁতের উৎপাদিত দ্রব্য সমূহ উৎপাদন করছেন। একটি বৈশিষ্ট্য সূচক দলে এইরকম উৎপাদকরা প্রায়ই ঐতিহ্যবাহী সম্প্রদায়ের অন্তর্ভূক্ত হন, যাহারা বংশানুক্রমে স্বীকৃত দ্রব্য উৎপাদন করছেন। বস্তুত, অনেক কারুশিল্পী দল হলেন শতাধিক বছরের পুরনো কারুশিল্পী।

কালিম্পং গোষ্ঠী সম্বন্ধে :-

পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যের কোলকাতা জেলাতে কালিম্পং গোষ্ঠী পড়ে।

কালিম্পং  গোষ্ঠী 103 এর বেশী কারিগর গঠন করতে সক্ষম হয়েছে এবং 12 টি স্বয়ন্ভর গোষ্ঠী এই শক্তিশালী কর্মশক্তিকে সহায়তা দিচ্ছেন। চলন শক্তির গতিবেগ দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পুতুল এবং খেলনা:-

নয়নরঞ্জন পুতুল হচ্ছে নরম, লোমশ, কোন কিছু দিয়ে ভর্তি করা পুতুল। কোন আকর্ষনীয় জন্তুর সাধারণত: কোন প্রাণী এবং মানুষ এর আকারে এই পুতুলগুলোকে তৈরী করা হয় ।

কাঁচামাল:-

এই পুতুলগুলো তৈরী করা হয় বিভিন্ন কাঁচামাল থেকে যেমন – কোন জন্তুর নরম মোটা লোম, পশম বস্ত্র , কৃত্রিম তন্তু, কৃত্রিম বোতাম, ফিতে এবং সুতো তাদের মধ্যে নিখুঁত সর্বশেষ বা চূড়ান্ত মান দিতে। আমরাও তাদেরকে নিবেদন করি মক্কেল বা খরিদ্দারদের দেওয়া নির্দিষ্টভাবে উল্লিখিত প্রথাগত সমাপনে।

প্রক্রিয়া:-

তুলনা করার ছাঁচ বা প্রতিমান প্রসারিত করা :-

ছাপানোর যন্ত্র ব্যাবহার করে আপনি প্রতিমান বড়ো করতে পারেন, কিন্তু যদি এটা সম্ভব না হয় তাহলে আপনি একটা কাগজের গরাদ তৈরী করতে পারেন। এবং তারপর বৃহত্তর গরাদে নকশাটি আঁকুন যখন কম্পিউটারের পর্দায় আপনার নকশাটি থাকবে।

প্রতিমান তৈরী করা :-

মোটা শক্ত মসৃণ কাগজের তৈরী কার্ড বোর্ড (ব্রিস্টল বোর্ড) প্রতিমান তৈরী  করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। আপনি কাগজের প্রতিমান এই কার্ড বোর্ডের উপর আঠা দিয়ে আটকে দিতে পারেন এবং তারপর কেটে ফেলুন। প্রতিমান এর উপর মুখের আদল তৈরী করতে বিভিন্ন রঙীন ডট বা বিন্দু  দিয়ে করতে পারেন।  তারপর এই প্রতিমান এর উপর থেকে চোখ এবং অন্যান্য সূচি শিল্প করা অংশ গুলি কেটে আলাদা করুন।   কাপড়ের উপর প্রতিমান এর রূপরেখা তৈরী করুন:-

আপনি দরজির চক্ ব্যাবহার করতে পারেন, রূপরেখা বা আঁকার কাগজ অথবা দামী পেন্সিল, চিহ্ণিতকারী বস্তু, পেন্সিল এবং হালকা রঙের এর চকখড়ি এই কাজের জন্য ব্যাবহার করতে পারেন। প্রতিমান দাগের ভিতরের দিকে সেলাই করতে চেষ্টা করুন যাতে পেন্সিলের দাগ জোড় মুখকে ছেড়ে থাকে।

আদর্শ নমুনা টুকরোগুলো কাটা :-

প্রতিটা পুতুলের জন্য দুটো করে আদর্শ নমুনার টুকরো কাটার আপনার প্রয়োজন হবে। কাপড়টাকে ভাঁজ করুন যাতে কাপড়ের উল্টোদিক মুখোমুখি থাকে। আদর্শ প্রতিমানের রূপরেখা কাপড়ের সোজা দিকে আঁকুন। কাপড়ের দুটো স্তরকে একসঙ্গে বেঁধে রাখার জন্য কিছু সোজা কাঁটা ব্যাবহার করুন। রূপরেখা দাগ এর 1/4 ইঞ্চি বাইরে দিয়ে কেটে ফেলুন।

সেলাই করা :-

যাতে একে অন্যের সঙ্গে মুখোমুখি থাকে এমন ভাবে কাপড়ের সোজা দিকে সবসময় আপনার সেলাই করা উচিত।

মেশিনের সাহায্যে সেলাই করা :-

রূপরেখা দাগের ভিতরের দিকে সেলাই করুন। খোলা জায়গা রেখে পুরোটা সেলাই করুন। শুরুতে এবং শেষে আপনাআপনি খুলে যায় এরকম সেলাই করুন। ফাঁস বড় করার জন্য একটা সূঁচ ব্যাবহার করুন তারপর নীচের দিকের সুতোর শেষ মাথা উপরের দিকে টানুন। সুতোর দুটো টুকরোকে বাঁধুন কাপড়ের উপর একটা সমতলবর্তী গিঁট তৈরী করার জন্য।

হাত দিয়ে সেলাই করা:-

একটা সুতো নিন প্রায় 3 ফুট (90 সেমি) এবং তারপর সুতোটাকে দুই ভাঁজ করুন এবং শেষে একটা গিঁট দিয়ে ফাঁস তৈরী করুন। টুকরো গুলোকে একসঙ্গে করে সেলাই করুন পিছন দিক থেকে শক্ত সেলাই ব্যাবহার করে। জোড়মুখের ছাড়কে ছেঁটে দিন ভিতরের অংশের বাঁকে। সেলাই এর লাইনের কাছে ছেঁটে দিন জোড়মুখের লাইনের সুতো না কেটে।

পাক দেওয়া এবং পূরণ করা :-

বোনার সূঁচের গিঁট দেওয়া শেষ প্রান্তটা আপনি ব্যবহার করতে পারেন অথবা একটা পেন্সিল ব্যবহার করুন ভরতি করার লাঠি হিসাবে এবং তারপর শেষ প্রান্তটা মসৃণ করুন।

ঠেসে ভর্ত্তি করার আগে :-

মুখের আদল এবং অন্যান্য সূচী শিল্পের দাগ চিহ্নিত করুন প্রতিমান ব্যাবহার করে। ইস্ত্রি’র সাহায্যে জোড়মুখের ছাড়কে চাপ দিন অথবা আঙ্গুলের নখের মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে ভাঁজ করে।

ভর্ত্তি করা :-

ঠেসে ভর্তি করার ছোট টুকরো পদার্থগুলো টেনে বার করুন এবং খোলামুখে ঠেলে ঢুকিয়ে দিন। পা, হাত কান ইত্যাদি জায়গাগুলো ভরতি করুন। যতক্ষণ পর্যন্ত আপনার চাহিদা মত নরম ভাব এবং ভর্তির অবস্থা থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ঠেসে ভর্তি করুন। একদিকে দেখা যায় (ব্লাইন্ড স্টিচ) এরকম সেলাই দিয়ে খোলামুখ বন্ধ করুন।

সূচী শিল্প করার বৈশিষ্ট্য গুলি :-

আপনি সাটিন সেলাই ব্যাবহার করতে পারেন অথবা প্রাথমিক পিছন সেলাই চোখ, নাক, মুখ এবং ভ্রু তৈরী করার জন্য।

কৌশল :-

১) প্রতিমান বিস্তারিত করা২) আপনার কাপড়ের উপর প্রতিমান এর রূপরেখা তৈরী করা৩) আদর্শ টুকরোগুলোকে কাটা৪) সেলাই করা৫) মেসিনের সাহায্যে সেলাই করা৬) হাতের সাহায্যে সেলাই করা৭) পাক দেওয়া এবং পূরণ করা৮) ঠেসে ভর্ত্তি করার আগে৯) ভরতি করা ১০) সূচি শিল্প করার বৈশিষ্ট্যগুলি

কি ভাবে পৌঁছাবেন :-

আকাশ পথে :-

কোলকাতার বিমানবন্দর দমদমে অবস্থিত, শহরের কেন্দ্রবিন্দু থেকে প্রায় 17 কিমি উত্তর পূর্বে। বেশীরভাগ অন্তর্দেশীয় বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার সরাসরি পরিষেবার ব্যবস্থা আছে কোলকাতাতে ও কোলকাতা হইতে ভারতবষের্র অন্যান্য শহরগুলিতে যেমন দিল্লী, মুম্বাই, চেন্নাই, পাটনা, বারাণসী, লখ্নৌ ইত্যাদি। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বেশীর ভাগ দেশেই কোলকাতা থেকে সরাসরি বিমান পরিবহণ ব্যবস্থা আছে।

সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে :-

ভারতবর্ষের বেশীরভাগ শহরের সঙ্গেই সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে কোলকাতা সংযুক্ত। শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত এসপ্ল্যানেড (ধর্মতলা) প্রান্তিক কেন্দ্রই বাস পরিষেবার প্রধান প্রান্তিক কেন্দ্র। ঢাকা – কোলকাতা বাস পরিষেবা শুরুই হল নূতন উন্নয়ন। বাসগুলি বর্ণাঢ্য, শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ও আরামদায়ক।

রেল পথের পথের মাধ্যমে :-

এই শহরে দুটি গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশন আছে—একটা হাওড়ায় ও অন্য একটা শিয়ালদহতে। দেশের অন্যান্য প্রান্ত হইতে রেল যোগযোগের মাধ্যমে কোলকাতাকে সংযুক্ত করেছে।  অত্যন্ত দ্রুতগামী ট্রেন যেমন –রাজধানী এক্সপ্রেস এবং শতাব্দী এক্সপ্রেস এই শহরকে দিল্লীর সঙ্গে এবং কাছাকাছি শহরগুলিকে যেমন বোকারো এবং রাউরকেল্লাকে সংযুক্ত করেছে । করমন্ডল এক্সপ্রেস ও গীতাঞ্জলী এক্সপ্রেস কোলকাতাকে সংযুক্ত করেছে যথাক্রমে চেন্নাই ও মুম্বাই এর সঙ্গে। 








বেস্ট বেঙ্গল     দার্জিলিং     জনতার গতিশীলতার জন্য উদার সংযোগ